writerfair

আবু রায়হান

লেখকও গীতিকার আবু রায়হানের জন্ম ১৯৬৯ সালে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি অঞ্চলে।ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে পড়াকালীন সময়ে ১৯৯১ সনে আমেরিকায় গমন। সেই থেকে সপরিবারে নিউইয়র্ক শহরে বসবাস।

২০০৭ সালে তার প্রথম বই ‘বসতপারের নিউইয়র্ক’ প্রকাশিত হয়।তারপর একে একে ‘নিউইয়র্ক বসতি’ ‘প্যারেড নগরী’ও ‘রাজা দর্শন’।চিলমারী অঞ্চলের সকাল দশটার লোকাল ট্রেন নিয়ে লেখা উপন্যাসের নাম ‘রমনা মেইল’।

অধ্যাপক, লেখক ও অভিনেতা মমতাজ উদ্দিন আহমেদের পরামর্শে এক সময় পুঁথি লেখার কাজ শুরু করেছিলেন।বৈশাখের পুথি, প্রবাসের পুথি, পুথির ইতিবৃত্ত - ইত্যাদি পুথি গুলি বেশ জনপ্রিয়। এধরনের অনেক গুলি পুথি নিয়ে ‘পুথিপাঠের আসর’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

বিদেশে জন্ম নেয়া বাঙালি শিশুদেরকে বাংলা শেখানোর প্রয়াসে ‘চলো বাংলা শিখি’ ও  ‘চলো বাংলা পড়ি’ শিরোনামে তার লেখা দুটি বই আছে।

তার লেখা প্রায় ৫০-৬০ টির মতো গান বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।রথীন্দ্র নাথ রায়, মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সুবীর নন্দী ছাড়াও কলকাতার বিখ্যাত শিল্পী হৈমন্তী শুক্লা ও সুদেষ্ণা গাঙ্গুলী তার লেখা গান গেয়েছেন। ‘অল্প স্বল্প গল্প’ ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ ও ‘আর কে রোড’ নামে তিনটি গানের অ্যালবাম আছে।

নিউ ইয়র্ক শহরে ‘ইঙ্গ বঙ্গ কমেডি কয়ার’ নামে একটি দল গঠন করে কিছুদিন মানুষ হাসানোর অনুষ্ঠান করেছিলেন।এই অনুষ্ঠানে হাস্যরস সমৃদ্ধ নাটিকা, গম্ভীরা, বায়োস্কোপ, জারিগান, পুঁথি পাঠ ও বিভিন্ন প্যারোডি গানের আয়োজন ছিল।

তার বিভিন্ন মুখী প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে নিউ ইয়র্কের ডাক্তার ও লেখক সিনহা আবুল মনসুর তাকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন।বইয়ের শিরোনাম- ‘চিলমারী থেকে নিউ ইয়র্ক: একজন আবু রায়হানের গল্প’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বইমেলা গুলির সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ।বর্তমানে, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী অঞ্চলে ‘পন্ডিত বইমেলা’ নামে একটি আয়োজন করে চলেছেন।