writerfair

হঠাৎ দেখা

meet suddenly

Ziaur Rahman linkon

কতদিন পর আজ হঠাৎ দেখা, 

কতদিন হবে বলতে পারো ?

 

হবে হয়তো বছরখানেক কিংবা

তারও বেশি। 

শেষ দেখায় বেশ বিমর্ষ দেখেছিলাম তোমায়!

এলোমেলো ছিলো চলার গতি, 

হয়তো কোন এক অজানা ভাবনায়

ডুবে ছিলে তুমি!

চোখ তুলে তাকানোর ফুসরত হয়নি তোমার !

 

আগের মতোই আছো এখনও!

সেই মুক্তোঝরা হাসি,

সেই চঞ্চলতা,

সেই কণ্ঠস্বর, 

সেই চাহনি! 

কোথাও কোন পরিবর্তন নেই!

পরিবর্তন নেই তোমার সজীবতার।

শীতের সবটুকু সৌন্দর্যে যেনো

মাখামাখি তুমি !

 

অবশ্য পরিবর্তন কিছু একটা হয়েছে

যা শুধু সময়ের সাথে সময়ের !

 

মনে পড়ে তোমার! 

এক সময় বেশ জ্বালাতে আমায়,

পিছে পিছে লেগে থাকতে,

সময়ে অসময়ে !

 

বাড়ির পাশে সেই সুপারিবাগান,

যেখানে নিরব দুপুর ছিলো আমার সঙ্গী,

তোমার পদধ্বনিতে শুকনো পাতার শব্দে

ভেংগে যেতো আমার সব নিরবতা !

 

আমার সমস্ত ব্যস্ততাগুলো থেমে যেতো

তোমার চুড়ির রিনঝিন শব্দে!

অকস্মাৎ তোমার আগমন

ভড়কে দিতো আমায় !

 

বয়সের পাগলামিতে কতো 

ছেলেমানুষই না ছিলে ! 

তোমায় নাকি ভালোবাসতেই হবে,

আমায় নাকি তোমার চাই চাই!

আরও কতো কি !

 

বয়সের পার্থক্যটা 

বেশ ছিলো আমাদের মাঝে! 

তুমি সদ্য গজিয়ে উঠা কিশোরী আর

আমি যৌবনের মধ্য সময় পেড়িয়েছি মাত্র।

 

ভবঘুরে জীবন তখন,

ভবিষ্যতের পথ অমসৃণ,

অন্ধকারের হাতছানি নাকি 

সাফল্যের পথে যাত্রা হবে,

এই অনিশ্চিত জীবনের! 

হিসেব মেলাতে ব্যস্ত তখন !

 

তাইতো ফিরিয়েছিলাম তোমায়,

কাছে টানতে পারিনি,

পারিনি নিজের করে রাখতে,

ভালোবাসার স্রোতে হারিয়ে যেতে।

তোমার কিশোরী মনের আবদার মেটাতে !

 

বলতে পারো - 

বয়সের পার্থক্যের সাথে

বেকারত্বও বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো

সেদিন।

 

হয়তো বলবে- ভালোবাসার আবার বয়স !

 

হুমম ভালোবাসারও একটা বয়স থাকে! 

নবযৌবনের খেলায় বুঝতে পারোনি সেদিন!

তবে এই মধ্য বয়সে এসে,

তার উত্তর হয়তো ঠিকই পেয়ে গেছো আজ।

 

তোমার সেই আবেগ

সেই চাওয়া-পাওয়া! 

জানি ভাটা পড়ে গেছে, 

বাস্তবতার বেড়াজালে পড়ে !

 

সময়ের কঠিন অভিজ্ঞতায়

তুমি এখন পরিপূর্ণ এক মানসী !

 

হয়তো বেশ সুখেই আছো,

তোমার মুখাবয়বে স্পষ্ট তার ছাপ!

ছাপ তোমার শাড়ীর ভাঁজেভাঁজে!

সুখের দ্যুতি উপছিয়ে পড়ে,

তোমার সমস্ত শরীরে !

 

আবার হয়তো দেখা হবে কোন একদিন

নির্জন দুপুরে কিংবা

ব্যস্ত শহরের কোন এক পাশে !

 

সুখেই থেকো তুমি এমনি করে,

বাকিটা জীবন।

Page No 1