writerfair

আত্মহত্যার ডায়েরি

Suicide Diary

Abul Hossain Azad

সময় টা ছিলো ২০১২ আমি তখন ক্লাস ফোরে পড়ি। আমার আব্বু আম্মু ঢাকায় থাকতো। আর আমি আমার নানির কাছে গ্ৰামে থাকতাম,। আমার মায়েরা চার বোন। আমার এক খালার বাসায় আমি আর আমার নানি থাকতাম, আমার ওই খালারাও ঢাকায় থাকে ।

আমার আম্মুর খালাতো একটা বোন আছে তো সম্পর্কে সেও আমার খালা । উনি গ্ৰামে থাকতো ওনার মেয়ে কে নিয়ে আর উনার হাসব্যান্ড ঢাকায় থাকতো ।

আমার ওই খালার মেয়ে আমার চেয়ে তিন বছরের বড় ছিলো,, কিন্তু আমাদের সম্পর্ক ছিলো একদম বন্ধুর মতো আমাদের দেখে কেউ বলতো না যে আমরা তিন বছরের ছোট বড় ।

ওর সাথে আমার খুব জমতো,, ঘুরতে যাওয়া খেলা ধুলা করা গল্প করা এক কথায় সব সময় আমরা দুজন একসাথে থাকতাম শুধু স্কুল টাইম টা বাদে।

এমন ও হয়েছে আমরা এক প্লেটে বসে খাবার খেয়েছি,,আমার নানি মাঝে মাঝে আমাদের দেখে বলতেন। তোদের দুজন কে একসাথে এক বাসায় বিয়ে দিতে হবে তোরা তো একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতেই পারিস না।আমরা খুব হাসাহাসি করতাম।

মাঝে মাঝে আমরা বসে গল্প করতাম যে আমরা কখনো কাউকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। আর আমাদের এতো মিলের সব চেয়ে বড় কারন হলো আমরা দেখতেও প্রায় একরকম ছিলাম শরীরের গঠন,উচ্চতা গায়ের রং সব কিছু,, পিছনে থেকে দেখে কেউ আমাদের আলাদা করতে পারতো না। আমরা দুজন কালো হওয়ায় ও সব সময় আমাকে বলতো ,।

জানিস নীল আমাদের না কখনো বিয়ে হবে না কারন কালো মেয়েকে কেউ পছন্দ করে না ওর এই কথা টা আমার মনে এখনো গেঁথে আছে । আমি তখন হাসতাম আর বলতাম ,"বিয়ে না হলে না হবে আমি আর তুই সারাজীবন একসাথে থাকবো তাহলেই হবে আমাদের কাউকে দরকার নেই ।

ওর নাম ছিলো শান্তা ,,আমরা গ্ৰামের আরো কিছু মেয়ে রোজ ওদের বাড়ির উঠানে খেলা করতাম দুপুরের পর থেকে আমাদের খেলা শুরু হতো আর সন্ধ্যার পর পর্যন্ত খেলতাম । এই খেলা টা ছিলো আমাদের প্রতিদিনের রুটিন এক বেলা না খেয়ে থাকলেও একদিন খেলা মিস যেতো না।

একদিন দুপুরে আমার নানি আমাকে খাওয়ার পর ঘুমাতে বললো। ঐ দিন কেনো জানি খাওয়ার পর নানির কথা মতো ঘুমিয়ে গেছিলাম,,অন্য প্রতিদিন ঘুমাতে বললেই চোখ বন্ধ করে থাকতাম যেই নানি ঘুমিয়ে পড়তো আমি উঠে দৌড়ে চলে যেতাম খেলার জন্য ,, কিন্তু সেদিন গেলাম না আর অদ্ভুত বিষয় সেদিন গ্ৰামের একটা মেয়েও শান্তাদের বাড়ি খেলার জন্য যায় নি ।

আমি ঘুমের মধ্যে কেমন একটা চিল্লাচিল্লি শুনতে পাচ্ছিলাম,, শান্তা কে নিয়ে কোনো কথা হচ্ছে তো আমি ঘুম ঘুম চোখেই মাথা উঁচু করে ভালো ভাবে শোনার চেষ্টা করলাম তখন ই আমার এক মামা এদিকে দৌড়ে আসছিলো ,,আমি উঠে গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে মামা ?

মামা আমাকে যা বললো তাতে আমার ঘুম উড়ে গেলো আমি যেনো মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিলাম না পুরো শরীর কাপছিলো,, আমার কথা বলার ভাষা হারিয়ে গেলো,,আমি কোনো রকম দরজা টা খুলে এক দৌড়ে শান্তা দের বাড়ির উঠানে গিয়ে পৌঁছালাম,,।

গ্ৰামের সব মানুষ উঠানে উপস্থিত আমার পা থমকে গেলো আমি আর এগোতে পারছি না আমার সামনেই আমার বোন শান্তা  মৃত দেহ খাটে শোয়ানো ।

ও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো,, আমি শুধু একটা কথাই চিন্তা করছিলাম কেনো আজ খেলতে আসলাম না কেনো ঘুমিয়ে গেলাম,,।

আমি ওখানেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাই আমি ওর মৃত্যু মানতে পারছিলাম না যখন জ্ঞান ফিরে তখন রাত হয়ে গেছে ওর আব্বু ঢাকা থেকে আসছে ওর মা পুরো পাগল হয়ে গেছিলো কারন ওনাদের ওই একটাই মেয়ে আর কোনো সন্তান নেই ।

সারারাত পার হলো আমি ওর পাশেই বসে ছিলাম আমাকে কেউ ওখান থেকে তুলতে পারে নি । পরেরদিন সকালে ওর জানাজা হবে কিন্তু হুজুর মানা করে দিলো উনি জানাজা দিবেন না,,পুলিশ আসলো কেনো আত্মহত্যা করেছে,, পোস্টমর্টেম করার জন্য লাশ নিয়ে যাবে । অনেক অনুরোধ আর টাকা দিয়ে পুলিশ কে আটকানো গেলো। এরপর ওকে কবর দেওয়া হলো,, হুজুর যান নি জানাজা দিতে । অথচ ও আর আমি ওই হুজুরের সব চেয়ে প্রিয় ছাত্রী ছিলাম ।

আমি সব সময় মন মরা হয়ে থাকতাম। স্কুলে যেতাম না কান্না করতাম। এভাবে কিছু দিন যাওয়ার পর আমার আম্মু গ্রামে আসলো ।

তারপর শুরু হয় ওখানে অদ্ভুত কিছু ঘটনা,,শান্তা সাথে ওর এক খালাতো ভাই এর বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। তো ভাইয়া একদিন স্বপ্ন দেখলো শান্তনা বিয়ের শাড়ি পড়ে ওকে বলছে ,

""কিরে আমাকে না তুই পছন্দ করিস বিয়ে করবি এই দেখ আমি এসেছি বিয়ে কর আমাকে ।""

ভাইয়া ওকে অনেক পছন্দ করতো তাই এই স্বপ্নের কথা সবাই কে বলতেই বললো ,,ও বেশি চিন্তা করছে তাই স্বপ্ন দেখেছে এরপর পরপর কয়েকদিন এরকম হয় । এরপর একদিন ওই ভাইয়া কেনো জানি না রাতে শান্তা যে ঘরে ফাঁস দিয়েছিলো ওই ঘরে শুতে চলে যায় কাউকে কিছু বলে না,,।

এরপর রাতে ভাইয়ার চিল্লাচিল্লিতে সবাই দৌড়ে গিয়ে দেখে ভাইয়ার মুখ একদিকে বেঁকে গেছে,,তার চোখ গুলো বড় বড় করে বেড়ার এক পাশে তাকিয়ে আছে ।

সবাই বুঝতে পারে কিছু একটা হয়েছে,, তারপর সবাই মিলে ওকে বাসায় নিয়ে চলে যায়,,তার কিছু দিন পর ভাইয়া মারা যায় আর ওর লাশ ওই ঘরেই পাওয়া যায়,,। ওর গলায় আঙ্গুলের ছাপ ছিলো ।

এই ঘটনার পর ভাইয়ার আব্বু,,জেদ করে ওই ঘরে রাতে থাকার জন্য যায় ,,যে আসলেই কি হয়েছে তা জানার জন্য,,, সবাই অনেক আটকানোর চেষ্টা করে কিন্তু উনি শুনেন নি ওনার রাগ ছিলো প্রচুর। সবাই ওনাকে প্রচুর ভয় পেতো ,,আর শান্তা কে উনি অনেক পছন্দ করতেন তাই নিজের ছেলের সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন । আর শান্তা ও ওনাকে অনেক সম্মান করতেন । এরপর রাতে উনি ওই ঘরে থাকার জন্য চলে যায় সবাই অনেক চিন্তা করছিলো যে কি হয় না হয় কিন্তু সকালে উনি সুস্থ ভাবেই ফিরে আসলেন । সবাই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হলেন ।

কিন্তু ওনার মধ্যে কেমন একটা চেইঞ্জ দেখা গেলো আগের মতো রাগ করেন না, বেশি কথা বলেন না, কাউকে বকা দেয় না, ভয়ে ভয়ে থাকেন সব সময় আর একদম শান্ত ভদ্র হয়ে গেলেন এটা দেখে সবাই অবাক হলো যে মানুষটার কি হলো । আবার মনে মনে সবাই খুশি ও হলো যে মানুষটা ভালো হয়ে গেছে । কিন্তু এই ভালো রুপ বেশিদিন কেউ দেখতে পেলো না কিছুদিন পর উনিও মারা গেলেন আর ওনার লাশ ও ওই ঘরেই পড়ে ছিলো ।

এসব হওয়ার পর হুজুর কিছু সূরা দিয়ে ওই ঘর বন্ধ করে দিলেন আর বললেন ৪১ দিনের আগে এই বাড়িতে কেউ থাকতে পারবে না তারপর ওই বাসায় আর কেউ যায় নি সবাই ওই বাড়ি এড়িয়ে চলতো,। আমি সব সময় মন খারাপ আর ভয়ে থাকতাম তাই আমার আম্মু আমাকে ঢাকায় নিয়ে চলে আসে যেনো এসব কিছুর প্রভাব আমার উপর থেকে সরে যায় ।

তারপর থেকে গ্ৰামে আর কিছু হয়নি । আমিও ঢাকায় বেশ ভালোই দিন কাটাচ্ছিলাম,,। পরে জানা যায় শান্তনা আত্মহত্যা করেছিলো ওর মায়ের সাথে অভিমান করে। কোনো একটা বিষয় নিয়ে ওর মা ওকে অনেক বকেছিলো। কিন্তু ও সেই কাজ টা করে নি। আর তাই প্রচন্ড অভিমান নিয়ে আত্মহত্যা করেছিলো।

তারপর তিন বছরের মধ্যে আমি আর কখনো নানু বাড়ি যাইনি অনেকটাই ভুলে গেছিলাম সব কিছু এরপর খালারা আর আমরা একসাথে গ্ৰামে গেলাম,,। আমি জানতাম না যে গ্ৰামে আমার সাথে এমন কিছু হবে ।

গ্ৰামে যাওয়ার পর ওদের বাড়ির পাশ দিয়ে যেতেই আমার আগের সব কিছু মনে পড়লো চোখ ভিজে গেলো। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলাম উঠানের দিকে যেখানে আমরা খেলা করতাম আর ওই ঘর টার দিকে। তখনও বাসায় কেউ থাকে না ওর আব্বু আম্মু ঢাকা চলে গেছিলেন ওই ঘটনার পর।

সারাদিন ভালো গেলো যখন ই সন্ধ্যা হলো আমার কেনো জানি ভয় লাগছিলো মনে মনে অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছিলো । যেনো খুব আপন কেউ আমাকে দূর থেকে দেখছে ।

আমি এটা কাউকে বললাম না রাতে খাওয়া দাওয়া করে আমার খালাতো দুই বোন ওরা আমার বড় আর আমি এক রুমে শুয়ে পড়লাম,,গ্ৰামের বাড়ি তে বেশিরভাগ সময় জানালা খুলেই ঘুমায় সবাই। তো আমরাও জানালা খুলে শুয়ে আছি ।

রাত অনেক হয়েছে সবাই ঘুমিয়ে গেছে হঠাৎ জানালার পাশ থেকে ফিসফিস করে কারো কন্ঠ শুনে আমি ওদিকে তাকিয়ে দেখলাম কেউ দাঁড়িয়ে আছে অন্ধকারে ঠিক বুঝতে পারলাম না কে,,

আমি জিজ্ঞেস করলাম কে?

সে বলতে লাগলো,,কি রে নিলু এতো তাড়াতাড়ি আমাকে ভুলে গেলি ? তুই না বলতিস আমরা সব সময় একসাথে থাকবো কখনো কেউ কাউকে ছেড়ে কোথাও যাবো না তাহলে এখন তুই এতো দূরে কিভাবে আছিস ? আমার একা থাকতে ভয় লাগছে আয় আমার কাছে আমরা একসাথে থাকবো আয় । এগুলো শুনেই আমি বুঝতে পারলাম এটা শান্তা । ওর কন্ঠ আমি কখনো ভুলবো না। আমি ভয়ে কোনো কথা বলতে পারছিলাম না। পুরো শরীর ভারি হয়ে গেছিলো হাতের একটা আঙ্গুলও নাড়ানোর শক্তি ছিলো না। আমি যে আমার আপু দের ডাকবো তাও পারছিলাম না। আমার নিঃশ্বাস একদম আটকে আসছিলো । শান্তা এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে হাসি মুখে বলতেই লাগলো আয় আমার কাছে আয় আমার একা একা খুব ভয় করছে।

আমি এক ঝটকায় উঠে বসে পড়লাম সাথে খুব জোরে চিৎকার দিলাম,,আমি আর জানালার দিকে তাকাতে পারছিলাম না ভয়ে ,, আমার চিৎকারে বাড়ির সবাই দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলো কি হয়েছে আমার আপু রা উঠে আমাকে ধরে বললো কি হয়েছে,,আমি ওদের জরিয়ে ধরে কান্না করে বললাম আগে জানালা বন্ধ কর আমার ভয় লাগছে।

তারপর সবাই কে বলতেই ,,খালা বললো স্বপ্ন দেখেছি আর শরীর ভারি হওয়ার কারন বোবা জিনে ধরেছে,, কিন্তু স্বপ্ন নয় সত্যিই এগুলো দেখেছি। সব কিছু আমার সামনে হচ্ছিলো স্বপ্ন এতো বাস্তব হতে পারে না। ওই রাতে আমি আর ঘুমাই নি সাথে সবাই কে জাগিয়ে রেখেছিলাম।

এরপর থেকে জানালা বন্ধ করে তারপর শুতাম ,, কিন্তু রোজ অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম,,চোখ বন্ধ করলেই চারিদিকে শুধু লাশ দেখতাম কবর দেখতাম। আমি দৌড়ে একটা বাড়ির সামনে চলে যেতাম আর সেই ঘরে শান্তনা আমার জন্য অপেক্ষা করতো। আমি গেলেই আমাকে ডাকতে শুরু করতো ,, আমার কাছে আয় আমার একা থাকতে ভয় লাগছে তুই না বলতিস আমরা একসাথে থাকবো তাহলে এখন আসছিস না কেনো ?

আমি আবার উল্টো ঘুরে চলে যেতাম আর বলতাম তুই মারা গেছিস আমি জীবিত আছি তাহলে তোর কাছে কিভাবে যাবো তুই চলে যা আমাকে একা ছেড়ে দে আমি তোর সাথে যাবো না,,তুই মরলি কেন ? বেঁচে থাকলে তো একসাথে থাকতাম,,তুই চলে যা।

এগুলো বলতে বলতে আমার ঘুম ভেঙ্গে যেতো । প্রচুর ভয় পেতাম রোজ এক ই স্বপ্ন মানুষ কিভাবে দেখতে পারে ? আমি আর ওখানে থাকতে পারছিলাম না আম্মু কে বললাম ঢাকায় চলে যাবো ,,তখন আম্মু বললো আর একদিন থাকি কালকে চলে যাবো । আমি তো আর এক মুহূর্তও থাকতে রাজি হচ্ছিলাম না পরে আমার জোড়াজুড়ি তে রাতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো,,।

কিন্তু বলে না সব সময় সব কিছু থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হয় না শেষ বারের মতো আরেকটা চেষ্টা চললো আমার উপর,, সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে আমি কেনো জানি না হেঁটে হেঁটে শান্তনা দের বাড়ির উঠানে চলে গেলাম,, সন্ধ্যার আজান দেয়নি তখন,, আমাকে যেতে দেখে আমার এক বান্ধবী আমাকে ডাকতে ডাকতে চলে আসলো কিন্তু আমি নাকি ওর ডাক শুনছিলাম না ,,ওই বাসায় যাওয়া মানা ছিলো আর আমি হাঁটতে হাঁটতে দরাজার কাছে চলে গিয়েছিলাম। যখন ই দরজা খুলে ভিতরে পা রাখবো আমার আম্মু এসে টেনে নিয়ে গেলো। আর ওই সময় আমার হুশ আসলো। আমি তাকিয়ে দেখি ওই ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছি ভয়ে তো আমি কান্না করে দিলাম আর তখন মাগরিবের আজানও শুনা গেলো ।

এরপর ওই সময় ই আমাকে হুজুরের কাছে নিয়ে গিয়ে আম্মু হুজুরের থেকে পানি পড়া আর একটা তাবিজ এনে আমাকে পড়িয়ে দিলো। হুজুর আম্মুর কাছে কিছু বলেছিলো কিন্তু সেটা আমি জানি না আমাকে বলেনি কি হয়েছিলো ,, এরপর তখন ই আম্মু আমাকে নিয়ে গ্ৰাম থেকে বেরিয়ে পড়ে তারপর থেকে আমি এখনো পর্যন্ত আমার নানি বাড়ি যাই না ।

ঢাকায় আসার পর ও আমার সাথে আর কিছুই হয়নি,,না কখনো কোনো কিছু স্বপ্ন দেখেছি,, তবে ওই সব মনে পড়লে এখন ও ভয় লাগে আর গায়ে কাঁটা দেয় ।এই যে পুরো টা লিখতে গিয়েও গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে । আমি এখনো আমার নানি বাড়ি যাই না ভবিষ্যতে ও আর যাওয়ার ইচ্ছা নেই ওখানে গেলেই আবার এমন কিছু ঘটতে পারে ।

Page No 1