বাবা! যেনো দুই অক্ষরে একটি নামই নয়!
এ যেনো বিশাল এক পৃথিবী!
উর্বর সুষম ভূমি!
স্নেহ মমতার এক বিশাল সমুদ্র!
প্রশস্ত এক বুক!
ছাঁয়া দানকারী এক বটবৃক্ষ!
নির্ভাবনার পরিপূরক নাম যেনো
- "বাবা" !
সেখানেই হামাগুড়ি দিয়ে হাঁটতে শেখা!
জীবন যৌবনের সবটুকু তৈরী সেখানেই!
তাঁরই রক্ত- মাংসের নির্যাসে আমার পূর্ণতা!
আজ সেই ছাঁয়া নেই! নেই সে পৃথিবী!
সমুদ্রবক্ষ শুকিয়ে চৌঁচির মাঠ!
নেই সেই প্রশস্ত বুক!
নেই আর নির্ভরতা, নির্ভাবনার স্থান!
বাবা হারিয়ে গেছে ঠিকই!
কিন্তু তার অসুস্থতা,তার মৃত্যু -
আমায় মানুষ চিনতে শিখিয়েছে!
শিখিয়েছে রক্তের বন্ধন,
আত্মীয়তার বন্ধনগুলো কত ভঙ্গুর!
কত ঠুনকো কাঁচের মতো!
এখন দেখি স্বার্থের জন্য হানাহানি!
সম্পদের জন্য রেষারেষি!
একে অন্যকে ঠকানোর দারুন নাট্যোৎসব !
দারুন সব আয়োজন!
মুখোশের উপর মুখোশ থরেথরে সাজানো!
কৃত্রিম হাসি আর কৃত্রিম সম্পর্কে ভরপুর
এক বিষাক্ত পৃথিবী!
একে অন্য ঠকাতে পারলেই যেনো
যুদ্ধ জয়ের মতো
- জিতে গেলাম! জিতে গেলাম!
এখন আমি পৃথিবী চিনি !
চিনি এর একদিকের কদর্যরূপ!
চিনি মানুষ পরিজন !
বাবা আমায় মানুষ চিনতে দেয়নি,
কষ্ট পাবো বলে!
তাইতো দু'বাহু দিয়ে আগলে রাখতেন আমায়,
পাখিরা যেমন আগলে রাখে তার ছানা,
সারাদিন সারাবেলা!
( পৃথিবীর সমস্ত বাবারা ভালো থাক! যারা পরপারে চলে গিয়েছেন, তারা জান্নাতবাসী হোক। আমিন।
["রব্বির হামহুমা কামা রব্বা-ইয়ানি ছগিরা"] )
Page No 1