writerfair

ছন্নছাড়া

out of order

Md. Bazlur Rashid

প্রথম অংশ

জলঢাকা একটি উপজেলা শহর , এই শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ছোট একটি নদী নাম তার আওলিয়াখানা । এই আওলিয়াখানা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে একটি ছোট উপজেলা শহর জলঢাকা । জলঢাকা নামের পিছনে অনেক কারণ থাকতে পারে । তবে আমি সঠিক কারণটি জানার চেষ্টা করেছি ।
সেটা হলো ভারতের কুচবিহারের জলঢাকা নামে একটি নদী ভুটান থেকে উৎপন্ন হয়ে এ উপজেলায় এসে তিস্তা নদীর মূল স্রোতধারায় বাহিত হত বলে নদীর নামে এ স্থানের নাম হয় জলঢাকা। আবার অনেকে মনে করেন স্থানটিতে তিস্তা ও করতোয়া নদীর মিলিত স্রোত প্রবাহিত ছিল। জলে ঢাকা ছিল বলে নদী তার গতিপথ পরিবর্তন করলে জেগে উঠা স্থানটির নাম হয় জলঢাকা।

যে কারণেই নামকরণ হোক এটি আমার জন্মভূমি। এই জন্মভূমিকে শহর বলা উচিত হলো কিনা আমি জানি না । এই শহরে অনেক নামিদামি লোক বাস করে ,আমি তাদের মতো না ,আমি সাধারন ঘরের একটি রীতিমত বেকার ছেলে ।

পকেটে সবসময় তেমন টাকা পয়সা থাকে না ,কিছু কাছের বন্ধু আছে  তারা বিভিন্ন সময় ধার দেয় তা দিয়ে চলি ,বন্ধুরা জানে কোন একদিন ফিরত পাব ,এই আশায় ধার দেয়।

আমার কাছ হচ্ছে দিনে ঘুমানো আর রাত জেগে জলঢাকার বিভিন্ন গোল চত্বরে ঘুরে বেড়ানো । জলঢাকার রাত আমার কাছে অসম্ভব ভাল  লাগে ।

এই রকম একটি গোল চত্বর হচ্ছে উপজেলা পরিষদ এর সামনে । ওখানে বসে আড্ডা দিতে খুব ভাল লাগে ,এই ভাল লাগাটা সহজে বুঝানো সম্ভব না । এত রাতে এই গোল চত্বরে
একটি দোকানও খোলা পেলাম না ,পকেটে কিছু টাকা আছে এক বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিয়েছি ।

একটা সিগারেট খেতে হবে কিন্তু আসে পাশে কোনো দোকান খোলা নেই ,তাই কি আর করা  ঠিক
করলাম জীবনান্দ দাশের কবিতার মতো একটি হাটা দেই ,হাজার বছর ধরে আমি পথ
হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, গন্তব্য জলঢাকার জিরো পয়েন্ট উদ্দেশ্য একটি সিগারেট
খাওয়া ।

কবিরা যে ,কিসব লিখে বুঝি না হাজার বছর ধরে কেউ কি হাটে। এই সময় যদি
জীবনান্দ দাশ বেঁচে থাকতো তাহলে মনে হয় লিখতো হাজার বছর ধরে রাজনীতি করি,কিন্তু নেতা হতে পারি না ।

এলোমেলো চিন্তা করতে করতে কখন যে জিরো পয়েন্টে এসে গেছি বুঝতে পারিনি । মনে মনে চিন্তা করলাম সিগারেটের কি নেশা একটা সিগারেট
খাওয়ার জন্য এতটা পথ আসলাম ..........চলবে
 

Page No 1